মালয়েশিয়ায় বৈধকরণে প্রতারণার শিকার ২৭০ বাংলাদেশী
প্রকাশিত : ২৩:৪১, ১৩ আগস্ট ২০১৮
মালয়েশিয়ায় অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের বৈধকরণে রিহায়ারিং প্রকল্পে ২৭০ জন বাংলাদেশি কর্মীর প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩০ জুন এই রিহায়ারিং প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।
জানা গেছে, ২৭০জন বাংলাদেশি গ্রয়িং গ্লোবাল নামক একটি কোম্পানির মাধ্যমে বৈধ হওয়ার জন্য এজেন্টকে তারা পাসপোর্টসহ ১.৮ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান অর্থ প্রদান করে৷
গতকাল রোববার (১২ আগস্ট) প্রতারিত বাংলাদেশীরা এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ কথা জানান৷
প্রতারণার শিকার বাংলাদেশি ইমরান হক উজ্জল জানান, ``তারা প্রত্যেকে বৈধ হওয়ার জন্য বাংলাদেশি টাকায় দেড় লক্ষ থেকে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকাসহ পাসপোর্ট দিয়েছিল ওই কোম্পানির এজেন্টদের হাতে৷ এই অর্থ প্রদান করেও বিনিময়ে তারা কিছুই পাইনি ৷ প্রতারিত হয়েছে।"
দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম দ্যা স্টারে`র খবর থেকে জানা যায়, প্রতারিত হয়ে এখন নিজ দেশে ফিরে যাওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প পথ নেই।
প্রতারিত হওয়া আরেকজন বাংলাদেশি বলেন, "আমরা অফিসে গিয়ে বহুবার আমাদের আবেদন পত্রের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। কিন্তু তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়েছে৷
আরেক বাংলাদেশি আলমগীর জানান, তারা ইমিগ্রেসনে ফিংগার পিন্ট দেওয়ার জন্য শেষ দিনেও ইমিগ্রেসনের বাহিরে অপেক্ষা করেছে৷ কোন অগ্রগতি ছাড়াই নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে।এর সাথে সাথে আমাদের আশাও ডুবে গেছে।
প্রতারিত হওয়া এ সকল বাংলাদেশিরা দেশটির ক্লাং বেল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে নির্মাণ সেক্টরে কাজ করে ৷ তারা দাবি করে যে, পুলিশ ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বাংলাদেশ হাইকমিশনেও এ বিষয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে ৷
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়া প্রতারণার শিকার বাংলাদেশিরা বলেন,"আমরা ন্যায়বিচার চাই৷ আমরা আশা করি মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ আমাদের ভিসা পেতে সহায়তা করবে৷ যদি তা না হয়, তাহলে আমরা আমাদের পাসপোর্ট চাই যাতে দেশে ফিরে যেতে পারি ৷"
এদিকে, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তান শ্রি মহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেছেন, বৈধ করণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ, উত্পাদন, বাগান ও কৃষি এবং সেবা খাতে যাদের ভিসা হয়েছে তাদেরকেই কাজ করার অনুমোদন দেওয়া হবে ৷
এমএইচ/এসি
আরও পড়ুন